স্বর্ণ চোরাচালানে অভিযুক্ত মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের হাজার কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য বেরিয়ে এসেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অনুসন্ধানে। ঢাকায় ২০টি সরকারিসহ ২৩টি প্লট ও সাত ভবনের মালিক তিনি। ব্যাংকে তার রয়েছে ৭৯১ কোটি টাকা। ঢাকায় রয়েছে একটি আবাসন প্রতিষ্ঠান ও দুটি গাড়ির শোরুম। ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জে তিনি আরও এক একর জমির মালিক।
সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ আবদুল্লাহেল বাকী গণমাধ্যমকে জানান, গোল্ডেন মনির ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অপরাধলব্ধ আয়ে করা অস্থাবর ও স্থাবর সম্পদের তথ্য–প্রমাণ পেয়েছেন তারা। মনিরের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সিআইডি জানায়, অপরাধলব্ধ আয় দিয়ে গোল্ডেন মনির উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের সোনারগাঁও জনপথ রোডে গ্র্যান্ড জমজম টাওয়ার এবং উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের সাফা টাওয়ারের অন্যতম মালিক হন। ঢাকায় তার ৯০ কাঠার বিভিন্ন আয়তনের প্লট রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে বাড্ডায় রাজউকের (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) আড়াই কাঠার ১৯টি প্লট, রাজউক পূর্বাচলে ১০ কাঠার একটি প্লট, বারিধারা জে ব্লকে সাড়ে আট কাঠা করে দুটি প্লট, খিলক্ষেতে পৌনে দুই কাঠার একটি প্লট, তুরাগের নলভোগ মৌজায় ১২ কাঠা জমি। এ ছাড়া গোল্ডেন মনিরের নামে ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জের চর রুহিতপুরে আড়াই বিঘা জমি রয়েছে। আবাসন প্রতিষ্ঠান স্বদেশ প্রপার্টিজে (বাড্ডা) তার মালিকানা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২১ নভেম্বর মেরুল বাড্ডার বাসায় অভিযান চালিয়ে মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরকে মাদক ও অবৈধ অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে র্যাব। এরপর তাকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠানো হয়। এখনো তিনি কারাবন্দি। র্যাবের নিয়মিত মামলার জের ধরে অপরাধলব্ধ আয়ের অনুসন্ধান করতে গিয়ে এই বিপুল সম্পদের তথ্য বেরিয়ে আসছে।